বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করে নিজ দলের প্রার্থীকে কেবল লজ্জাজনক হারই কেবল উপহার দেননি, সেই সাথে নাজমুল ইসলাম রুহেল গড়ে নিয়েছেন নতুন এক রেকর্ড ।
নাজমুল ইসলাম রুহেল ২০১৬ সালে অনুষ্টিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিশ্বনাথ উপজেলার সবচেয়ে বেশী ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়া চেয়ারম্যান । তাও আবার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নিজ দলের প্রার্থীকে হারিয়ে । তিনি বিশ্বনাথের অলংকারী ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন । তার পিতার নাম হাজী মুসলিম মিয়া এবং মাতার নাম সৈয়দা আবিদা বেগম । নাজমুল ইসলাম রুহেল স্থানীয় বড় খুরমা সরকারী প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং হাজী রাশীদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করে কলেজে ভর্তি হলেও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্তেও আর লেখাপড়া করা হয়নি । যুবক বয়স থেকেই তিনি নিজ এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে নেন ।
বিশেষ করে কামালবাজার যুব ফোরামের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় উন্নয়নে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। দীর্ঘদিন জাতীয় যুব সংহতি সিলেট জেলা শাখায় যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হিসেবে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও এক সময় নিজ এলাকায় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় রাজনীতির পরিচিত মুখ এম.ইলিয়াস আলীর ডাকে সাড়া দিয়ে বি.এন.পি তে যোগ দেন। এবং এক সময় নিজ সাংগঠনিক দক্ষতায় উপজেলা বি.এন.পির সহ-সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন । ২০১১ সালে অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত দলীয় মনোনয়ন চান কিন্তু পাননি ।
শেষ পর্যন্ত ইউনিয়ন বাসীর অনুরোধে নির্বাচনে বি.এন.পির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন এবং নির্বাচনী মাঠে নিজেকে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে সক্ষম হন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করলেও এম.ইলিয়াস আলীর পছন্দের প্রার্থী ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো.লিলু মিয়ার কাছে মাত্র কয়েকশ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান । এবং ২০১৬ সালে প্রথমবারের মত দলীয় ব্যানারে অনুষ্টিত নির্বাচনেও নিজ দলের কাছ থেকে নমিনেশন চান কিন্তু দলের মনোনয়ন পান অপেক্ষাকৃত বি.এন.পির জন্য নতুন এক মুখ ব্যবসায়ী আব্দুল হক। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে এবারও তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করে নিজ দলের প্রার্থীকে কেবল লজ্জাজনক হারই উপহার দেননি সেই সাথে গড়ে নিয়েছেন নতুন এক রেকর্ড ।
বিশ্বনাথে এবার অনুষ্টিত ৬টি ইউপি নির্বাচনের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশী ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীকে হারান। ভোটের ব্যবধান ছিল আড়াই হাজারের ও বেশী ।
ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৯৯ সালে বুশরা বেগমের সাথে বিবাহ বন্দনে আবদ্দ হন ।তাদের রয়েছে চার সন্তান । ১ম সন্তান জাবিয়া সুলতানা মারিয়া সিলেট সরকারী মহিলা কলেজে এবং ২য় সন্তান আদহাম হোসেন , ৩য় সন্তান নাবিলা সুলতানা ও চতুর্থ সন্তান স্থানীয় হাইস্কুলে অধ্যয়নরত ।