১লা জুন, ২০২৩ ইং | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রাকৃতিক সম্পদ

প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর - ১ - ২০১৬ | ৯: ৩৩ অপরাহ্ণ | সংবাদটি 590 বার পঠিত

প্রাকৃতিক সম্পদ:
(ক) ভূ-প্রকৃতি: সুরমা ও কুশিয়ারা বিধৌত অঞ্চল হিসেবে অত্র উপজেলার মাটি সাধারণত পলি মিশ্রিত দোআঁশ ও এঁটেল। উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ গঠনে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় স্বাভাবিক। কৃষিকাজ ব্যতীত এখানকার এঁটেল মাটি ইট তৈরির কাজেও ব্যবহৃত হয়। এখানে উদ্ভিদের বর্ধন ক্রিয়া স্বাভাবিক। এখানে প্রচুর নারিকেল,সুপারী,বিভিন্ন ফলজ,বনজ ও ঔষধী গাছ জন্মে। এছাড়া বাঁশও পাওয়া যায় প্রচুর। এখানে প্রায় ২৭৪১ একর বনভূমি রয়েছে যার অধিকাংশই বাঁশ ও সুপারী।

(খ) আবহাওয়া, জলবায়ু, গড় তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত: পূণ্যভুমি সিলেট বিভাগ পাহাড় ও হাওর এলাকায় হওয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এবং মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৭২.৮ মিলিমিটার ও বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৫.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বছরের বিভিন্ন সময়ের তাপমাত্রার ভিন্নতা নিম্নরুপ:-

জানুয়ারী        ফেব্রুয়ারী             মার্চ             এপ্রিল          মে              জুন
১৮.৬০           ২০.৮০            ২৫.০০        ২৮.৯০       ২৮.৭০       ২৮.৫০

জুলাই                আগষ্ট            সেপ্টেম্বর      অক্টোবর    নভেম্বর         ডিসেম্বর        গড় তাপমাত্রা

২৮.৪০           ২৮.৬০          ২৮.৫০          ২৭.৩০     ২৩.০০          ১৯.৯০              ২৫.৩

(গ) মোট জমির পরিমাণ ও শ্রেণী: এ উপজেলার মোট আয়তন- ২১৪.৫ বর্গকিলোমিটার। নিম্নে  উহার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো:

ক্রমিক নং জমির বিবরণ  আয়তন (একর)
মোট জমি ৫২.৬৭২.৭৩ একর
মোট মৌজার পরিমান ১১৫টি
খাস জমির পরিমাণ ৩০৫৮.৭৫ একর
কৃষি খাস জমির পরিমান ২৪০.২০ একর
অকৃষি খাস জমির পরিমান ২৮১৮.৫৫ একর
মোট অর্পিত সম্পতির পরিমান ৩৩২৭.৫৮ একর
ইজারাকৃত অর্পিত সম্পতির পরিমান ৫৯২.৫৮ একর

(ঘ) মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য, গুনাবলী এবং বিশেষ ব্যবহার: এ উপজেলার মাটি এঁটেল ও দোঁআশা প্রকৃতির। উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ গঠনে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় স্বাভাবিক। এ উপজেলায় অনেক সুরম্য অট্রালিকা নির্মিত হয়েছে। কৃষিকাজ ব্যতীত এখানকার মাটি ইট তৈরির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। উদ্ভিদের বর্ধন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক। গাছ-গাছালির মধ্যে অধিকাংশই নারিকেল, সুপারী ও বাঁশ গাছ্।

(ঙ) পানি সম্পদ: এ উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানা পুকুর ২,৩৮৮টি ও জেলা পরিষদের আওতায় পুকুর রয়েছে ২৫টি এবং উপজেলা পরিষদের আওতায় পুকুর রয়েছে ৪টি। জলমহালের সংখ্যা ২১টি ও বালুমহাল সংখ্যা ২টি। নলকূপ ১২,২২৫টি এর মধ্যে সরকারি ২০৫০টি ও বেসরকারী ১০,১৭৫ টি। তাছাড়া পানির অন্যান্য উৎসের মধ্যে নদী, হাওর, খাল, বিল ইত্যাদি রয়েছে। বাসিয়া, মাকুন্দা ও ব্রাহ্মনা এখানকার প্রধান নদী।

(চ) পানি দুষণ: যত্রতত্র নির্মিত খোলা পায়খানা এবং হাটবাজারের ময়লা আবর্জনা নদী, পুকুর এবং খাল-বিলের পানিতে মিশে পানি দূষিত হচ্ছে। তবে কীট নাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে আছে। রাস্তা-ঘাঠ, ঘর-বাড়ি, হাটবাজার ইত্যাদি নির্মাণের ফলে কৃষি জমিসহ বনজ সম্পদ দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর ক্রমশ ভরাট হচ্ছে।

(ছ) বনাঞ্চল: এ উপজেলায় ২,৭৪১ একর বনভূমি রয়েছে। বনভূমির গাছপালার মধ্যে নারিকেল, বাঁশ ও সুপারী উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছও রয়েছে।

(জ) পুকুর, জলাশয় ও খাবার পানি: এ উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানা পুকুর রয়েছে ২,৩৬০টি, জেলা পরিষদের আওতায় পুকুর রয়েছে ২৫টি এবং উপজেলা পরিষদের আওতায় পুকুর রয়েছে ৪টি। জলমহালের সংখ্যা ২১টি ও বালুমহাল সংখ্যা ২টি। নলকূপ ১২,২২৫টি এর মধ্যে সরকারি ২০৫০টি ও বেসরকারী ১০,১৭৫ টি। আর্সেনিক যুক্ত ৪৩২টি (সরকারী ১৫৭ ও বেসরকারী ২৭৫। আর্সেনিকের হার ৩.০৭%।

(ঝ) প্রাকৃতিক সম্পদের উপর জনগণের নির্ভরশীলতা: অত্র উপজেলায় পানি, গাছপালা ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। হাওর, খাল, বিল, নদী-নালার পানি সম্পদ এখানকার কিছু সংখ্যক মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ উপজেলায় বিভিন্ন মৌসুমের ফলের গাছ, ফুলের গাছ, বনজ ও ঔষধি গাছের পরিমাণও অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি রয়েছে।

error: Content is protected !!