অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদে মাত্র ২৯ বৎসর বয়সে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েন মো.লিলু মিয়া ।
বিশ্বনাথের অলংকারী ইউনিয়নে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে কম বয়সে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার রেকর্ড গড়েন মো.লিলু মিয়া । তিনি অলংকারী ইউনিয়নের অলংকারী গ্রামে ১৯৬৮ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহন করেন ।তার পিতার নাম ছইদ মিয়া ও মাতার নাম আয়মনা বিবি । তিন ভাই ও ২ বোনের মধ্যে মো.লিলু মিয়া ৫ম ।
মো.লিলু মিয়া স্থানীয় অলংকারী পৌদনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ,ভর্তি হন বিশ্বনাথের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ে । সেখানে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ব্যবসা বাণিজ্যে অধিক মনোযোগী হওয়ায় তার পক্ষে আর লেখাপড়া করা সম্ভব হয় নি। মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি সমাজসেবায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন । নিজ এলাকায় গড়ে তুলেন সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় ,পাশাপাশি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও স্থানীয় ডাকঘরের জন্য দান করেন উল্লেখযোগ্য পরিমান ভূমি । আর সুখে দু:খে এলাকার মানুষের পাশে একজন নি:স্বার্থ সমাজসেবী হিসেবে থাকায় এলাকার জনগনও উদিয়মান এই তরুনকে একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে ভাবতে শুরু করে এরই অংশ হিসেবে মাত্র ২৯ বৎসর বয়সে ১৯৯৭ সালে তাকে অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করা হয়। প্রথম বারেই অংশ নিয়ে ভোটারদের মন জয় করে বাজিমাত করেন মো.লিলু মিয়া । ২০০৩ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র কয়েকশ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। ২০১১ সালে পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিলে জনগণ এবার তাকে আর খালি হাতে মুখ ফিরিয়ে দেয়নি ।
২য় বারের মত তারা তাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেন । অবশ্য ২০১৬ সালে অনুষ্টিত নির্বাচনে তিনি আর প্রার্থী হননি । বি.এন.পি প্রতিষ্টালগ্ন থেকে তিনি তার একজন একনিষ্ট সমর্থক । দীর্ঘ প্রায় ১ যুগের ও বেশী সময় ধরে বিশ্বনাথ উপজেলা বি.এন .পির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উপজেলা বি.এন.পির সাধারন সম্পাদক হিসেবে দলের অনেক দুর্দিনে কঠিন এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ বৎসর তিনি সিলেট জেলা বি.এন.পির সমবায় সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন । রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে তিনি ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে জড়িত । সিলেট শহরে আজাদ এন্ড ব্রাাদার্স , আজাদ ফ্রেব্রিক্স ও আধুনিক রেস্টুরেন্ট ভোজন বাড়ি সহ তার আরো একাধিক ব্যবসা রয়েছে । তিনি স্থানীয় সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও শাহপরান হাফিজিয়া মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছাড়া আরো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ।
ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৯৭ সালে রাবেয়া বেগম রুনার সাথে বিবাহ বন্দনে আবদ্দ হন এবং তাদের দুই কন্যা সন্তান সুমাইয়া বেগম ও সামিয়া বেগম দুজনেই সিলেট খাজাঞ্জি বাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যয়নরত । ২০০৭ সালে তার ১ম স্ত্রী মারা গেলে মো.লিলু মিয়া ২০০৮ সালে এসে সাজনা বেগমের সাথে বিবাহ বন্দনে আবদ্দ হন ।